কৃষক হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

কারাগারের প্রতীকী ছবি
কারাগারের প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কৃষক শহিদ মিয়া হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমনা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ছয়জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন অপর তিনজন।

মঙ্গলবার দুপরে জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এই রায় দেন। জরিমানার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহত ব্যক্তির পরিবার পাবেন বলে রায়ে বলা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আজিজুল হক, সোবান মিয়া, সিরাজুল হক ও মতি মিয়া। আর তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আবুল মিয়া, মো. তালেব, মো. শহিদ মিয়া, মো. আবুল কাশেম, মো. আবু তাহের ও আবদুল হক। খালাস পাওয়া তিন ব্যক্তি হলেন আবাল হোসেন, মো. মজিদ মিয়া ও মো. রমজান আলী। তাঁদের সবার বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডীগড়ের মাখাইয়া এলাকায়।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার বলেন, চণ্ডীগড়ের মাখাইয়া গ্রামের কৃষক শহিদ মিয়ার (৫০) সঙ্গে প্রতিবেশী আজিজুল হকের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলাও ছিল। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে শহিদ মিয়া ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে আজিজুল ও তাঁর আত্মীয়স্বজন এতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে শহিদ মিয়া গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পরদিন সকালে নিহত শহিদ মিয়ার স্বজন রাহাত আলী বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ১৩ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে পরের বছরের ৩১ মার্চ ১৩ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ওই রায় দেন।