অটোরিকশা থামিয়ে তুষারকে গুলি মারল দুর্বৃত্তরা

খাগড়াছড়ি জেলা শহরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তুষার চাকমা (২২) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের নারানখাইয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তুষারকে নিজেদের কর্মী হিসেবে স্বীকার না করলেও এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ দায়ী করছে আরেক দল জেএসএসকে (এমএন লারমা)। তবে জেএসএস (লারমা) এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশা (টমটম) চালাতেন তুষার। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়।

প্রত্যক্ষদর্শী বক্তিরা জানান, আজ শহরের স্টেডিয়ামে একটি ফুটবল ম্যাচ শেষে অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে ফিরছিলেন তুষার। এ সময় নারানখাইয়া বাজারের কাছে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা অটোরিকশাটি থামায়। এরপর জেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সামনে নিয়ে গিয়ে তুষারকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তুষারের মৃত্যু হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ওসি বলেন, তুষার স্থানীয় দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য।

ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরণ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, তুষার চাকমা ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কোনো কর্মী বা সমর্থক নন। তিনি একজন শিক্ষার্থী ও ভাড়ায় অটোরিকশা চালাতেন। এ ঘটনার জন্য তিনি জেএসএসকে (এমএন লারমা) দায়ী করেন।

তবে জেএসএসের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

চলতি মাসের ৭ তারিখ পানছড়ি বাজারে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) যুব সমিতির সদস্য রনি ত্রিপুরা খুন হন। ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে বিবদমান পাহাড়ি সংঘাতে ৪৮ জন খুন হলো।