জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেলেন সালমান মুক্তাদির

সালমান মুক্তাদির
সালমান মুক্তাদির

ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘কেউ কি সালমান মুক্তাদিরের আজকের অবস্থা জানাতে পারবেন?’ বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এক দিনের মাথায় সালমানকে সাইবার অপরাধ দমন বিভাগ ডেকে পাঠাল। সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সেফ ইন্টারনেট স্লোগানকে সামনে রেখে সাইবার অপরাধ দমন বিভাগ কাজ করছে । তারই অংশ হিসেবে সালমানকে ডাকা হলো।

সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সালমান মুক্তাদির সন্ধ্যা ৭টা/৮টার দিকে চলে যান। তিনি ভিডিও সরিয়ে নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে ও নিরাপদ ইন্টারনেটের ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখা হবে। তিনি নির্দেশনা মেনে না চললে তাঁর বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘অভদ্র প্রেম’ শিরোনামে সালমান মুক্তাদিরের একটি মিউজিক ভিডিও নিয়ে সম্প্রতি অশ্লীলতার অভিযোগ ওঠে। সালমানের আগে মডেল অভিনেত্রী সানাই মাহবুবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে সালমান মুক্তাদির প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর যে ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি তিনি আগেই সরিয়ে নিয়েছেন। তারপরও কেন এত আলোচনা—তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে যা ঘটছে তাতে তাঁর নিজেকে ‘টেররিস্ট’ (সন্ত্রাসবাদী), ‘মার্ডারার’ (খুনি), ‘ন্যাশনাল থ্রেট’ (জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ) বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউটিউবাররা কোন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করতে পারবেন, কোনটা পারবেন না—সে বিষয়ে কোনো আইন-কানুন আছে কি না, তা তাঁর জানা ছিল না।