নিখোঁজের আগে শিশুদের একেক জায়গায় রেখে যান গৃহকর্ত্রী

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর একই পরিবারের ৫ জনের ৪ জন উদ্ধার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ রাজধানীর কেরানীগঞ্জ ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে।

আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তাঁর সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

উদ্ধার করা চারজন হলো পোশাক কারখানার কর্মকর্তা জামাল সরদারের বড় মেয়ে আশা মনি (১১), প্রিয়া মনি (৪) ও তার ভায়রার মেয়ে সুমাইয়া (১৪) ও শ্যালকের ছেলে আজিম (৭)। নিখোঁজ রয়েছেন গৃহকর্তার স্ত্রী ফরিদা ওরফে নিপা (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, পোশাক কারখানার কর্মকর্তা জামাল সরদার গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সপ্তাহে এক দিন বাসায় আসেন। তাঁর স্ত্রী ফরিদা ওরফে নিপা দুই সন্তান নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানী নগর নুরবাগ এলাকা ভাড়া থাকতেন। ১০ ফেব্রুয়ারি ফরিদা তাঁর দুই মেয়ে ও বোনের দুই সন্তানসহ নিখোঁজ হন। এ বিষয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি পোশাক কারখানার ওই কর্মকর্তা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় জামাল সরদারের ভায়রার ছেলে নাজিম উদ্দিন ওরফে আজিমকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকার নূরানী মাদ্রাসা থেকে, বড় মেয়ে আশা মনিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ল্যাবরেটরি আবাসিক স্কুল থেকে, ছোট মেয়ে প্রিয়া মনি এবং ভায়রার মেয়ে সোমাইয়াকে কেরানীগঞ্জে আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে।

এসপি হারুন অর রশীদ আরও জানান, উদ্ধারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ফরিদা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে পরিকল্পিতভাবে ছেলে-মেয়েদের দুজনকে বিভিন্ন স্থানে স্কুলে ভর্তি করিয়ে ও দুজনকে আত্মীয়ের বাসায় রেখে যান। তিনি ঘর থেকে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যান। প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে মনে হয়েছে পরকীয়ার টানে ফরিদা ঘর ছেড়েছেন। তাঁর প্রেমিকের নাম সুমন। তাঁদের খোঁজা হচ্ছে।