'অন্তত ৩০ জনের লাশ স্বজনেরা শনাক্ত করতে পারবেন'

মোটরসাইকেলসহ অনেক কিছু পুড়ে কয়লার মতো অবস্থা হয়েছে। চকবাজার, ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম
মোটরসাইকেলসহ অনেক কিছু পুড়ে কয়লার মতো অবস্থা হয়েছে। চকবাজার, ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন বলেন, লাশগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে কঙ্কালের মতো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে লাশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন তিনি।

সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, পুড়ে যাওয়া লাশের চেহারাও চেনা যায় না। কেমিক্যালের মতো দাহ্য পদার্থে পুড়ে গেলে বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে যায়।

ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, অন্তত ৩০ জনের লাশ তাঁদের স্বজনেরা শনাক্ত করতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে। এক-তৃতীয়াংশ লাশ পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এসব লাশ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্তের কাজ করতে হবে। পুলিশের নির্দেশ পেলে বাকি লাশগুলোর ময়নাতদন্তের কাজ করা হবে।

পোড়া ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে কী যেন বলছেন এক উদ্ধারকর্মী। চকবাজার, ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম
পোড়া ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে কী যেন বলছেন এক উদ্ধারকর্মী। চকবাজার, ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আবদুস সালাম

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ৬৭টি ব্যাগে করে লাশ এসেছে আজ দুপুর পর্যন্ত। এ ছাড়া আরও তিনটি ব্যাগে লাশের খণ্ডিত অংশ আনা হয়। নিহত ৭০ জনের লাশ এখন রয়েছে ঢামেক মর্গে। এদিকে লাশের সন্ধানে হাজারো স্বজন ভিড় করছেন মর্গের আশপাশে। কেউ আহাজারি করছেন। স্বজনকে জীবিত অথবা মৃত খুঁজে পেতে কেউবা এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করছেন।

ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ লাশের পরিচয় মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

কেমিক্যালে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুত পুড়িয়ে ফেলে। এ কারণে লাশগুলো শনাক্ত করা কঠিন হবে বলে মনে করেন বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল।

আরও পড়ুন: