ঢাকা ও কক্সবাজারে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কক্সবাজারের টেকনাফে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।

পুলিশের ভাষ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে দয়াগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হজরত আলী (৩৫) এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর নামে ৫০ টির বেশি মামলা রয়েছে।

বিজিবির ভাষ্য, টেকনাফের কাটাবুনিয়া এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত মো. বিল্লাল হোসেন (২৫) ইয়াবা কারবারি ছিলেন। তিনি ইয়াবার চালান আনতে গিয়েছিলেন। এ সময় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। বিল্লালের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর সাতচর গ্রামে।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, গতকাল দিবাগত রাতে দয়াগঞ্জ এলাকায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে বলে খবর পায় পুলিশ। সেখানে অভিযান চালাতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল ও গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে উদ্ধার করে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১ হাজার ১০০টি ইয়াবা বড়ি,১টি ককটেল ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুদজামান চৌধুরীর ভাষ্য, সাবরাং কাটাবুনিয়া এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবার চালান আসতে পারে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ও টেকনাফ ২ বিজিবির সমন্বয়ে একটি দল ওই এলাকায় টহল জোরদার করে। এ সময় এক ব্যক্তিকে টহলদল চ্যালেঞ্জ করে। তিনি টহলদলকে লক্ষ করে গুলি চালায়। বিজিবির টহলদল আত্মরক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থান থেকে গুলি চালায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৯ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। পরে টেকনাফ থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম দোহা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।