বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নেই: ড. কামাল

প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি
প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত গণশুনানি চলছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ভোটের নানা ‘অনিয়ম’, ‘কারচুপি’সহ বিভিন্ন বিষয় গণশুনানিতে তুলে ধরছেন।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এই গণশুনানি শুরু হয়। ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণশুনানির বিচারক প্যানেলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমেদ, শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সাবেক বিচারক আ ক ম আনিসুর রহমান খান ও আইনজীবী মহসিন রশিদ।

গণশুনানির শুরুতে চকবাজারে আগুনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ ছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন।

গণশুনানির শুরুতে ড. কামাল হোসেন বলেন, তাঁরা বিচারক নন। বিচার করার ক্ষমতা তাঁদের নেই। বিচার হবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে। গণশুনানিতে যে বক্তব্য আসবে, তা পরবর্তী সময়ে বই আকারে প্রকাশ করার কথা জানান কামাল হোসেন।

৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় সরকার যা ইচ্ছা তাই করছে। এ জন্য সরকারকে জবাবদিহিও করতে হয় না।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রেজা কিবরিয়া অভিযোগ করে বলেন, সাদাপোশাকে তাঁর কর্মীদের তুলে নেওয়া হয়। নির্বাচনের দেড় মাস আগে থেকেই কর্মীরা বাড়িছাড়া হয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এস এম আকরাম বলেন, সভা-সমাবেশ করতে মঞ্চ তৈরির জন্য নিজের এলাকা থেকে লোক পাওয়া যায় না। বাইরে থেকে লোক আনতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। মুন্সিগঞ্জ থেকে মাইক ভাড়া করে আনতে হয়েছে বলে জানান আকরাম।

সিরাজগঞ্জের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রুমানা মাহমুদ অভিযোগ করেন, তাঁর প্রচার মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। গুলিতে তাঁর কর্মী মেরী বেগমের দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বক্তব্য রাখার সময় তিনি মেরী বেগমকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। মেরী বলেন, তাঁকে ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, নয়তো চোখ ফেরত দিতে হবে।

গণশুনানিতে আরও উপস্থিত হন বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।