ওয়াহেদ ম্যানশনের বেসমেন্টে দাহ্য রাসায়নিকের বড় মজুত

চকবাজারের ওয়াহেদ ম্যানশনের বেসমেন্টে মজুত করে রাখা রাসায়নিকের কনটেইনার এবং প্যাকেট খুঁজে পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
চকবাজারের ওয়াহেদ ম্যানশনের বেসমেন্টে মজুত করে রাখা রাসায়নিকের কনটেইনার এবং প্যাকেট খুঁজে পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

রাজধানীর চকবাজারের হাজী ওয়াহেদ ম্যানশন নামের যে ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই ভবনটির নিচতলায় বেআইনিভাবে মজুত করে রাখা শত শত দাহ্য রাসায়নিকের কনটেইনার এবং প্যাকেট খুঁজে পেয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের অনলাইনে প্রকাশিত এক সংবাদে এ কথা বলা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের লালবাগ স্টেশনের কর্মকর্তা রতন কুমার দেবনাথ আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গিয়ে আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ভবনটির নিচতলার গেটের তালা ভেঙে সেখানে রাসায়নিক পদার্থের একটি গুদাম খুঁজে পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ভবনটির নিচতলায় যে এভাবে শত শত দাহ্য রাসায়নিকের কনটেইনার এবং প্যাকেট মজুত করে রাখা হয়েছিল, আগুন নেভানোর সময় তা আমাদের জানা ছিল না।’

‘কোনোভাবে যদি আগুন ভবনটির নিচতলায় গিয়ে রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসত, তাহলে তা আশপাশের অন্যান্য ভবনেও ছড়িয়ে পড়ত এবং যা সহজে থামানো যেত না,’ যোগ করেন তিনি।

তবে, ওই গুদামে সংরক্ষিত কনটেইনারগুলো সব রঙের এবং সেখানে কোনো দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ নেই জানিয়ে নিচতলার গেট ভাঙার সময় স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও জানান তিনি।

রতন কুমার দেবনাথ বলেন, ‘কোনো আবাসিক ভবনে কেউ দাহ্য বস্তু মজুত করে রাখতে পারেন না। কিন্তু, এই ভবনটিতে বেআইনিভাবে শত শত দাহ্য রাসায়নিকের কনটেইনার এবং প্যাকেট মজুত করে রাখা হয়েছিল।’