সুনামগঞ্জ হাওরে বাঁধের কাজে অনিয়ম, ৪ জনের কারাদণ্ড

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজে অনিয়ম ও গাফিলতি করায় চার ব্যক্তিকে দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ও দুটির সদস্যসচিব রয়েছেন।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ আজ রোববার বিকেলে তাঁদের এই কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের খাইর হাওরের ১২ নম্বর পিআইসির সভাপতি মীর হোসেন, একই হাওরের ১১ নম্বর পিআইসির সদস্যসচিব আবুল খয়ের, দরগাপাশা ইউনিয়নের জামখোলা হাওরের ৩ নম্বর পিআইসি সদস্যসচিব চান্দ মিয়া ও পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের দেখার হাওরের ২৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি আলী আহমদ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এসব পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিবদের বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তাঁরা সঠিকভাবে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করছেন না। কাজে অনিয়ম ও গাফিলতি করছেন। আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং হাওরে বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গঠিত উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. সফি উল্লাহর নির্দেশে প্রথমে পুলিশ নিজ নিজ এলাকা থেকে এসব পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিবকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের প্রত্যেককে দুই দিনের বিনাশ্রম সাজা দেওয়া হয়। বিকেলে তাঁদের সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ বলেন, বাঁধের কাজে অনিময় বা গাফিলতি করার কারও কোনো সুযোগ নেই। এসব পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব কাজে অনিয়ম ও গাফিলতি করছিলেন। তাঁদের বারবার আদেশ দেওয়া পরও তাঁরা ঠিকমতো কাজ করেননি। তাই তাঁদের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অন্য কোনো পিআইসি কাজে গাফিলতি করলে একইভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাঁধের কাজে অনিয়ম করলে কেউ ছাড় পাবে না।

সুনামগঞ্জে এবার ১১টি উপজেলায় ৩৭টি হাওরে ৫৫৩টি প্রকল্পে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ হচ্ছে। একটি পিআইসি একটি প্রকল্পের কাজ করছে। একটি পিআইসি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার কাজ করতে পারে। সুনামগঞ্জে বাঁধের কাজে এবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বাঁধের কাজের শেষ সময় ২৮ ফেব্রুয়ারি। সুনামগঞ্জে হাওরে এবার ২ লাখ ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।