মাদ্রাসাশিক্ষক খুনের ঘটনায় আরও একজনের স্বীকারোক্তি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে মাদ্রাসাশিক্ষক ইমরান হোসেন খুনের ঘটনায় আরও এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর নাম আলমগীর হোসেন (২০)। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম বেগম সুস্মিতা আহমেদের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। এর আগে একই দিন আলমগীরসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকি দুজন হলেন শহীদুল ইসলাম ও মো. আরিফ। তাঁদের বাড়ি উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে।

গত ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাড়বকুণ্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় রেল কলোনিতে খুন হন সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ইমরান হোসেন। পরদিন নিহত ব্যক্তির বাবা সরোয়ার উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা মামলা করেন। মূলত বাড়বকুণ্ড রেলস্টেশন এলাকায় মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের বাধা দিতেন শিক্ষক ইমরান হোসেন। এ কারণে তাঁকে খুন করা হয় বলে জানায় পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ভায়েরখীল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মো. আরিফ ও সন্ধ্যায় শহীদুল ইসলাম নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ইসলাম (২০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আলমগীর, শহীদুল ও আরিফসহ পাঁচজন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিলেন।