ভৈরবে বইমেলা শেষ সেরা বন্ধুসভার স্টল

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় আট দিনব্যাপী একুশে বইমেলা গত শনিবার শেষ হয়েছে। এবার মেলায় ১০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। মেলায় স্থান পাওয়া ১৭টি বইয়ের স্টলের মধ্যে সেরা হয়েছে প্রথম আলো ভৈরব বন্ধুসভার স্টল।

বিক্রি, মান ও শৃঙ্খলার দিক বিবেচনায় এনে আয়োজকেরা বন্ধুসভার স্টলটিকে সেরা প্রথম ঘোষণা করে। দ্বিতীয় সেরা স্টল হয় শিশু-কিশোর সংগঠন কাকলি খেলাঘর ও তৃতীয় হয় স্বপ্নীল বইঘর। ভৈরব বন্ধুসভার সভাপতি আসাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তুষার অতিথির কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

ভৈরব বইমেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় রাজকাচারি মাঠে অনুষ্ঠিত এবারের বইমেলা ছিল ২২তম। গত শনিবার রাতে সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান।

অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়া, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা মো. সুলায়মান, বইমেলা পরিষদের সাবেক সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ। সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বইমেলা পরিষদের সহসভাপতি মো. সেলিম মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক সুমন মোল্লা।

সমাপনী দিনে বক্তারা বলেন, ভৈরব ছোট শহর। এই শহরে টানা ২২ বছর ধরে বইমেলা হচ্ছে, এটি আশা জাগানিয়া খবর। বইমেলা এই উপজেলার শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যচর্চার বড় মঞ্চ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। পাঠক সৃষ্টিতে বইমেলা দারুণ ভূমিকা রাখছে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। ওই দিন প্রথমা প্রকাশন থেকে বের হওয়া সুমন রহমানের নির্ঘুম রাত ও মেহেরুবা নিশার বিষণ্নতার দ্বাদশ অধ্যায় গ্রন্থের ওপর আলোচনা হয়। আলোচনায় লেখক সুমন রহমান ও মেহেরুবা নিশা উপস্থিত ছিলেন।

আট দিনের মঞ্চে স্থানীয় ও বাইরের ১২টি সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিবেশনা নিয়ে এসেছে। প্রথম আলো ভৈরব বন্ধুসভার পক্ষ থেকে মঞ্চস্থ হয়েছে গীতিনাট্য মহুয়া, নিবেদিতা নাট্যাঙ্গনের নাটক গর্ত, থিয়েটার আর্টের রতনেরা এবং আওয়াজ মঞ্চ মঞ্চস্থ করেছে নাটক সচেতন। চারটি নাটকের মধ্যে মহুয়া গীতি নাট্যের নির্দেশক সুমাইয়া হামিদ, গর্ত নাটকের আহসান উদ্দিন ও রতনেরা নাটকের সাগর রহমানকে সেরা নির্দেশকের পুরস্কার দেওয়া হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে উপহার হিসেবে বই তুলে দেওয়া হয়।

সমাপনী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নৃত্যশিল্পী এস আই শফিক ও তাঁর দলের পরিবেশনায় নৃত্যানুষ্ঠান হয়। সবশেষে জান্নাত বাহার, শারফিন আহমেদ ও রনি বিশ্বাস লালনসংগীত পরিবেশন করেন।