আবারও কলাগাছ দিয়ে প্রতিবাদ

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়ও সড়কে কলাগাছ রোপণ করে প্রতিবাদ চলছে। গত রোববার রাত থেকে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত পেকুয়ার বিভিন্ন সড়কে এসব কলাগাছ রোপণ করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। এর আগে চকরিয়া ও টেকনাফে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিভিন্ন সড়কে কলাগাছ রোপণ করেছিলেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, রোববার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ পেকুয়া উপজেলাসহ ১২২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। পেকুয়ায় দলটির মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম গিয়াস উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হোছাইন, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান। জাহাঙ্গীর আলম দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা সড়কের দুই পাশে ও বিভিন্ন মোড়ে কলাগাছ রোপণ করে দেন।

গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পেকুয়া চৌমুহনী, পেকুয়া বাজার, বরইতলী রাস্তার মাথা-পেকুয়া-মগনামা সড়ক ও টৈটং-বাঘগুজারা সড়কের বিভিন্ন অংশে কলাগাছ রোপণ করা হয়েছে। কলাগাছের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের ছবিও।

পেকুয়া বাজার কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদুল আলম বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম যোগ্য প্রার্থী। দল প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল করেছে। প্রতিবাদ হিসেবে আমরা কলাগাছ রোপণ করেছি।’

জানতে চাইলে যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, তিনি জনবিচ্ছিন্ন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সেটি মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা হয়তো আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে সড়কে কলাগাছ রোপণ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

এদিকে দলের মনোনয়ন নিয়ে গতকাল বিকেলে ঢাকা থেকে পেকুয়ায় ফিরেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেম। দলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে পেকুয়ার সীমান্ত এলাকা টৈটং বাজারে বরণ করে নেন। এরপর দুই শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে মগনামা ঘাটে যান। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘দলের প্রয়োজনে সব সময় ত্যাগ স্বীকার করেছি। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের পুরোটা সময় জেলে কাটিয়েছি। নেত্রী আমাকে এর প্রতিদান দিয়েছেন। আপনারা গ্রামেগঞ্জে কাজ করুন। যাঁরা প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা লুটপাটকারী-জবরদখলকারী। তাঁদের মানুষ ভোট দেবে না।’