দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ, অবরোধ

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে দলীয় ঘোষিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দলের একাংশের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। গতকাল শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে দলীয় ঘোষিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দলের একাংশের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। গতকাল শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে দলীয় ঘোষিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে ওই সব কর্মসূচি পালন করেন সৈয়দ আশফাকুল ইসলামের সমর্থকেরা। তাঁরা শহরের স্টেশন রোডের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শহরে তীব্র যানজটের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এর আগে রোববার রাত নয়টার দিকে একই দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন।
এসব কর্মসূচিতে বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন, চৌদ্দশত ইউপির চেয়ারম্যান এ বি সিদ্দিক খোকা, কর্শা কড়িয়াইল ইউপির চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন, মহিনন্দ ইউপির চেয়ারম্যান মনসুর আলী, যশোদল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল হক, রশিদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বৌলাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন, কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, দানাপাটুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, বিন্নাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম, লতিবাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফ খান, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, ছাত্রলীগসহ তৃণমূলে আশফাকুলের সমর্থকেরা অংশ নেন।
শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সদর উপজেলার ২১০ জন কাউন্সিলর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলামের পক্ষে স্বাক্ষর করে তাঁকে দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠায়। এতে জেলা ও সদর আওয়ামী লীগেরও অনুমোদন ছিল। এরপরও তৃণমূলের মতামতকে পাশ কাটিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাকাউদ্দিন আহাম্মদকে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। এতে তৃণমূলের সব নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আশফাকুলকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
তবে সদর উপজেলা থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলামসহ অন্তত চারজন আওয়ামী লীগ নেতার নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছে।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা পাওয়ার পর গতকাল থেকেই নিজ এলাকা করিমগঞ্জে গণসংযোগে নেমেছেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান। তিনি তাঁর এলাকা বৌলাই, পাটধা, জয়কা, সাধকখালি, গুণধর, মরিচখালি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে ভোটারদের কাছে ভোট চান। তিনি বলেন, এর আগেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করেছেন কিন্তু দলীয় কোন্দল থাকায় তিনি বিজয়ী হতে পারেননি। তবে এবার এলাকায় তাঁর অবস্থান খুবই ভালো। তাই তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।