সড়কের ওপর থেকে দোকান উচ্ছেদের দাবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সড়কের ওপর থেকে দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করা হয়।  প্রথম আলো
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সড়কের ওপর থেকে দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করা হয়। প্রথম আলো

সড়কের ওপর থেকে দোকান উচ্ছেদের দাবিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে পৌর শহরের পঞ্চবটী এলাকার হাজী জনাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এই কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে স্থানীয় লোকজনও অংশ নেন।
কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়টির অবস্থান পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। বিদ্যালয় ঘেঁষে পৌরসভার একটি পাকা সড়ক রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সড়কের ওপর দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আবার দৈনিক নির্দিষ্ট হারে মাসোহারা আদায় করছেন বিদ্যালয় লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দা হারুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি। সড়কের ওপর দোকান থাকায় বিশেষ করে বিদ্যালয় চলার সময় শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের আসা–যাওয়ায় খুবই কষ্ট হয়। দূরের অভিভাবকেরা রিকশা নিয়ে বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে আসতে পারেন না। এতে ভোগান্তি বাড়ছে। প্রতিকার পেতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। এই অবস্থায় গতকাল থেকে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা আন্দোলনে যান।
সহকারী শিক্ষক আ. রশিদ বলেন, একটি দুটি করে দিন দিন দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে এখন আর এতটুকু ফাঁকা পাওয়া যায় না।
নাদিম মিয়া নামের এক অভিভাবক বলেন, ভিড় আর দোকানপাট ঠেলে বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে প্রায় সময় শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক রিনা বেগম বলেন, এই নিয়ে তাঁরা এখন বিব্রতকর অবস্থায় আছেন। কোথাও গিয়ে সুষ্ঠু সমাধান পাচ্ছেন না।
আর্থিক সুবিধা গ্রহণের কথা স্বীকার করে হারুনুর রশিদ বলেন, ‘বিদ্যালয়টি আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। দান করে দিয়ে দেওয়ার পরও আমার কিছু জায়গা স্কুলের দখলে আছে। আমার দ্বারা বিদ্যালয় সুবিধা পাচ্ছে। আবার আমার সুবিধার জন্য শিক্ষক, ছাত্ররা সামান্য অসুবিধা মেনে নিতে পারছেন না। তবে তিনি আরও বলেন, সড়কের ওপর নয়, ফুটপাতের ওপর দোকান বসানো হয়েছে।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক বলেন, সড়কের ওপর দোকানের জন্য শুধু শিক্ষক, শিক্ষার্থী নয়, সাধারণ মানুষেরও যাতায়াতের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। অটোরিকশা চলতে পারে না। ফলে লোকজনকে হেঁটে এগিয়ে গিয়ে অটোরিকশায় উঠতে হয়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এই নিয়ে একাধিবার চেষ্টা করেও সফল হয়নি।