হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে ঝড়ে ৩০০ কাঁচাঘর বিধ্বস্ত

হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের সামনে একটি পরিবারের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে নিঝুম দ্বীপের ইসলামপুর এলাকায়।  প্রথম আলো
হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের সামনে একটি পরিবারের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে নিঝুম দ্বীপের ইসলামপুর এলাকায়। প্রথম আলো

নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে হঠাৎ ঝড়ে প্রায় ৩০০ কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভিজে নষ্ট হয়েছে শুঁটকি। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঝড় বয়ে যায়। এ সময় ঝড়ে কয়েকটি মাছ ধরার নৌকারও ক্ষতি হয়।

নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নিঝুম দ্বীপে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিও ছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। ঝড়ে শুধু তাঁদের নামার বাজার এলাকায় ৩০ থেকে ৩৫টি কাঁচা ও টিনের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও ঝড়ে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ঝড়ে নামার বাজার এলাকায় কয়েক শ মণ শুঁটকি ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। দুলাল মাঝি নামের এক ব্যক্তির একটি মাছ ধরা নৌকা ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে খণ্ড খণ্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও তিন–চারটি মাছ ধরা নৌকার ক্ষতি হয়েছে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ে ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ কাঁচা ও টিনের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি মাছ ধরা নৌকা নিখোঁজ থাকলেও পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আদর্শগ্রাম, মুন্সিগ্রাম ও ইসলামপুর এলাকা তিনি পরিদর্শন করেছেন। তবে এতে কোনো প্রাণহানির খবর তিনি পাননি।

মেহরাজ উদ্দিন আরও জানান, ঝড়-বৃষ্টিতে নিঝুম দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় শুকাতে দেওয়া শত শত মণ শুঁটকি নষ্ট হয়ে গেছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম প্রথম আলোকে বলেন, নিঝুম দ্বীপে ঝড়ে কিছু ঘরবাড়ির ক্ষতি এবং পাঁচটি মাছ ধরা নৌকা নিখোঁজ থাকার কথা তিনি শুনেছেন। পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।