রাতে হল তল্লাশি, অস্ত্র উদ্ধার

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হলে তল্লাশি চালিয়ে নয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত দুইটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল, শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় তিন হল থেকে একটি এলজি, আটটি রামদা, লাঠিসোঁটা ও রড উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা ‘ছাত্রলীগের কর্মী’ বলে জানা গেছে। তবে এদের নাম দিতে পারেনি পুলিশ।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, আটককৃতদের মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী তিনজন, ভার্সিটি এক্সপ্রেসের একজন, একাকারের দুজন, বিজয়ের দুই কর্মী ও অন্যজন সাধারণ শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মনছুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের তিন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা কোনো অপরাধ করেননি। আশা করি তাঁরা ছাড়া পাবেন। যদি ছাড়া না পান তবে আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি সমাধান করব।’

বিলুপ্ত কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন,  প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হবে। আটক ও তল্লাশির বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাংগীর  বলেন, তিন হলে তল্লাশি চালিয়ে নয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই শেষে কোনো অপরাধ পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। তবে রাতে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। বারবার সংঘর্ষের জেরে এ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। কিন্তু এরপরেও থামেনি হামলা–পাল্টা হামলা। এ নিয়ে গত দুই বছরে অন্তত ১০ বার মারামারিতে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষ। গত শুক্রবার ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি গোলাম রসুলকে মারধরের অভিযোগে সংঘর্ষে জড়ায় বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন ও উল্কা। গোলাম রসুল উল্কা পক্ষের নেতা। এতে ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক ও কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।