গণশুনানিতে নেতাদের গণঘুমে দেখা গেছে

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানির সময় নেতৃবৃন্দের ‘নিদ্রারত’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে ‘গণঘুম’ হিসেবে। জনগণের চোখে ধুলা দেওয়ার জন্য গণশুনানির ‘নাটক’ মঞ্চায়ন করা হয়েছে। গণশুনানির কোনো আবেদন তারা জনগণের কাছে তৈরি করতে পারেনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসউদুল হকসহ সদস্যরা মতবিনিময়ে অংশ নেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের একজন নেতা বলেছেন, ‘গণশুনানির পাশাপাশি তাঁদের নেতাদের শুনানি করা প্রয়োজন, কার কী ভূমিকা ছিল তা জানতে। এ বিষয়ে আমি একমত।’

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল সোমবার ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে দেশের জনগণই হচ্ছে ক্ষমতার মালিক, অন্য কেউ নয়। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ঘনঘন বিদেশিদের সঙ্গে দেখা করার মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো কিছু হলেই বিদেশিদের কাছে ধরনা দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এতে যে শুধু তাঁদের দলকে অপমানিত করা হয় তা নয়, দেশকেও অপমানিত করা হয়।

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলার বিষয়ে সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো দায় নেই। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কার্বন কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৫ সালে পরিবেশ বিষয়ে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত করেছে জাতিসংঘ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নিজে দায়ী না হয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের নির্মম শিকার। ‘প্যারিস চুক্তি’ হলেও এখন কার্যকর হচ্ছে না কয়েকটি দেশের কারণে। এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশসহ যারা ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, তারা উপকৃত হবে।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতে বিটিভি দেখা যাবে। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য একটি খসড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দুই দেশ একমত হলে খুব দ্রুত সময়ে এটি স্বাক্ষর হবে। তখন বিটিভি ভারতে দেখা যাবে।