চার মাস পর বাসচালক গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১১ জন বাসযাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনার চার মাস পর বাসচালক মামুনুর রশিদকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার জেলার সদর উপজেলার জগদল বাজার থেকে ওই বাসচালককে গ্রেপ্তার করে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানা-পুলিশ।

মামুনুর রশিদ সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের চারমাইল-বোদাপাড়া এলাকার মো. দুলালের ছেলে। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত ভাই-বোন পরিবহন নামের ওই বাসটির চালক ছিলেন।

তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক প্রধান বলেন, বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১১ জন মানুষ নিহতের ঘটনায় হওয়া মামলার অন্যতম আসামি মামুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই বাসের চালক ছিলেন বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এখন ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনার অপর আসামি ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম রাজীবকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার দশমাইল এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধাগামী ভাই-বোন পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ও তেঁতুলিয়ার ভজনপুর থেকে পঞ্চগড়গামী জেমকন লিমিটেডের বিদ্যুতের খুঁটিবাহী একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ বাসযাত্রী নিহত হন। গুরুতর আহত লোকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর নারী, শিশুসহ আরও ছয়জন বাসযাত্রীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন আরও ১০ জন। দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাকটি ফেলে পালিয়ে যান দুই চালক।

দুর্ঘটনার পর ২৮ অক্টোবর তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফজলুল করিম বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় বাস ও ট্রাকের অজ্ঞাত দুই চালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে বাস ও ট্রাকের দুই চালকের নাম বেরিয়ে আসে। তাঁরা হলেন বাসচালক মামুনুর রশিদ ও ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম ওরফে রাজীব। ট্রাকচালক রফিকুল খুলনা মহানগরের গিলাতলা এলাকার (জাহানাবাদ সেনানিবাস সংলগ্ন) আবদুল মতিনের ছেলে। তাঁকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।