ভিজিডির চাল কম দেওয়ার অভিযোগ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নে দুই মাস পর ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবু ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৬০ কেজির বদলে ৪৫-৫০ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে, বলেন সুবিধাভোগীরা।
জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ভিজিডি কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার দুস্থ ও অসহায় এবং শারীরিকভাবে অক্ষম নারীদের উন্নয়নের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে। প্রতি মাসের চাল ওই মাসেই দেওয়ার কথা।
উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের চাল পেয়েছেন, এমন পাঁচজন বলেছেন, তাঁদের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের ভিজিডির চাল গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া হয়েছে। দুই মাসে ৬০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু চাল মেপে দেখা যায়, আছে ৪৫-৪৮ কেজি।
তাঁরা আরও বলেন, আগে ৩০ কেজির চালের দুটি বস্তা দেওয়া হতো। তখন ওজন নিয়ে এত ঝামেলা হতো না। এখন বস্তায় ৫০ কেজি থাকে। সেখান থেকে চাল বের করে আন্দাজে দিচ্ছে। ফলে ওজনে কম হচ্ছে। তাঁরা অভিযোগ করলে বলা হচ্ছে, গুদাম থেকে চাল কম এসেছে।
বড় মানিকা ইউনিয়নে তদারক কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত আছেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্ব আছে। এ কারণে বড় মানিকা ইউনিয়নে সোমবার ভিজিডি চাল বিতরণের উদ্বোধন করে সদরে চলে এসেছেন। তবে তিনি দেখেছেন, একজন দুস্থ মহিলাকে ২৭-২৮ কেজি করে দুই মাসের চাল দেওয়া হয়েছে। পরে কত কেজি দেওয়া হয়েছে, তিনি জানেন না।
ইউনিয়নের সচিব অমূল্য দে বলেন, ক্যারিং খরচ ও গুদাম ঘাটতির কারণে তাঁদের ২৮ কেজি করে দুই মাসে ৫৬ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। আর উপজেলা খাদ্য গুদামে আগে ৩০ কেজির চালের বস্তা দিত, এখন দিচ্ছে না।
তবে উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা মো. সিরাজ বলেন, বড় মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান অনেক আগেই নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের ভিজিডির চাল তুলে নিয়েছেন। আর তাঁরা কখনো চাল কম দেন না। ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন চাল মেপে বুঝে নেন। কম দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর যখন যেমন বস্তা আসে, তখন তেমনই দেওয়া হয়। আর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের চালের কাগজ এখনো তাঁদের কাছে আসেনি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, তাঁরা গুদাম থেকে আসা ৫০ কেজির বস্তা ভিজিডিপ্রাপ্ত দুস্থদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন। অনেক সময় বস্তা ফাটা থাকে, তখন সে চালগুলো বালতি দিয়ে মেপে দেওয়া হয়। ৬০ কেজির কম চাল দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হলে অবশ্যই তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ. কুদ্‌দূস বলেন, খোলা বস্তায় চাল দেওয়ার কথা না। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।