চেয়ারম্যান পদে চাচি ও ভাতিজার লড়াই

কাজী মাহামুদুর রহমান, ফরিদা আখতার
কাজী মাহামুদুর রহমান, ফরিদা আখতার

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে নেমেছেন চাচি ও তাতিজা। ভাতিজা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহামুদুর রহমান। আর চাচি হলেন ফরিদা আখতার। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ ছিলেন।

কাজী মাহমুদুর রহমান এবার প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদা আখতার জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহসভাপতি। জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে তিনিই একমাত্র নারী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী।

এই উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শাহিন এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। চাচি-ভাতিজার বাইরে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন শ্রমিকনেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী। ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কাজী মাহামুদুর রহমান নৌকা, ফরিদা আখতার কাপ-পিরিচ, মুক্তারুল হক আনারস এবং হায়দার আলী দোয়াত–কলম প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

৩ ফেব্রুয়ারি তেঁতুলিয়ায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন কাজী মাহামুদুর রহমান, ফরিদা আখতার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ করিম সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী মণ্ডল, তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমান। কেন্দ্র কাজী মাহামুদুর রহমানকে মনোনয়ন দেয়।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এবং উন্মুক্ত করে দেওয়ায় আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। পরিচ্ছন্ন তেঁতুলিয়া গড়ার লক্ষ্যে আমার নির্বাচনে আসা। আমি নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রীর গ্রামকে শহর বানানো, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার কাজে সহায়তা করতে চাই।’

কাজী মাহামুদুর রহমান বলেন, নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী তেমন কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারবে না। দলীয় নেতা-কর্মী আর ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে আশা করছেন।

সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত তেঁতুলিয়া উপজেলায় মোট ভোটার ৮৮ হাজার ৭৫৬ জন।