পিএসসিকে যোগ্য প্রার্থী নিয়োগে সুপারিশের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

পিএসসির প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৮ পেশ করে। বঙ্গভবন, ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি। ছবি: বাসস
পিএসসির প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৮ পেশ করে। বঙ্গভবন, ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি। ছবি: বাসস

সরকারি কর্মকমিশনকে (পিএসসি) যোগ্য প্রার্থীরা যাতে সরকারি চাকরি পায়, সে লক্ষ্যে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ বুধবার বিকেলে পিএসসির একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৮ পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন রাষ্ট্রপতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীরা যাতে পিএসসির সুপারিশে প্রজাতন্ত্রের চাকরি পায়, সে জন্য নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে আপনারা কাজ করবেন।’

রাষ্ট্রপতি পিএসসিকে কমিশনের সব কর্মকাণ্ডে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির (আইসিটি) সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করারও পরামর্শ দেন। দেশ সব ক্ষেত্রে এক অসাধারণ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, পিএসসিকেও সরকারের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরও বেগবান করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

৬ বছরে ৬০ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছে পিএসসি
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন যে পিএসসি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৬ হাজার ৫৮৪ জন ক্যাডার ও ৩৩ হাজার ৯৬৭ জন নন-ক্যাডার মিলিয়ে মোট ৬০ হাজার ৫৫১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন যে কোনো পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে যদি দুজন পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরে ২০ নম্বরের ব্যবধান হয়, সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক পরীক্ষার জন্য তৃতীয় পরীক্ষক অন্তর্ভুক্ত করাসহ পরীক্ষার্থীর খাতা পরীক্ষণ ও পুনঃপরীক্ষণে অধিকতর নিশ্চিত করার মাধ্যমে পিএসসি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে।

ড. সাদিক বলেন, ‘পিএসসি ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর ৫০ নম্বর চালু করেছে।’