মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি

চট্টগ্রাম নগরে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক নওশাদ মাহমুদ, শরফুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী, মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাহেদ মুরাদ, সদস্যসচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান, জেলা কমিটির সদস্যসচিব কামরুল হুদা প্রমুখ।

যা লেখা স্মারকলিপিতে 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ আছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। এ প্রস্তাবকে মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের জনগণ স্বাগত জানান। এখন জনগণ, শিক্ষার্থী ও পর্যটকসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরতে পুরোনো সার্কিট হাউস ভবনের নাম পরিবর্তন করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি–বিজড়িত এই ভবনটি বর্তমানে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারিভাবে সংরক্ষিত। এই জাদুঘর ব্যক্তিকেন্দ্রিক জাদুঘরে রূপ নিয়েছে। তাই জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম বদলে দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়—৭১ সালে এই সার্কিট হাউসটি ছিল পাকিস্তানি সেনাদের সামরিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এখান থেকেই পাকিস্তানি বাহিনী পুরো চট্টগ্রাম শহর নিয়ন্ত্রণ করত। সার্কিট হাউসের বিশেষ কয়েকটি কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ ও নারীদের নির্যাতন করা হতো। ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে শক দিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো মুক্তিকামী বাঙালিদের। নির্যাতনের পর তাঁদের হত্যা করা হতো। এসব ইতিহাস ম্লান করে দিয়ে এই ভবনটিকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর করা হয়েছে। কিন্তু জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানাতে এটিকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করতে হবে।