সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে খুঁটিগুলো

সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি। গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চকবাজার কে বি ফজলুল কাদের সড়কের অলি খাঁ মসজিদের পাশে।  জুয়েল শীল
সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি। গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চকবাজার কে বি ফজলুল কাদের সড়কের অলি খাঁ মসজিদের পাশে। জুয়েল শীল

সড়ক প্রশস্ত করার কাজ শেষ হয়েছে প্রায় আড়াই মাস আগে। কিন্তু সরানো হয়নি বৈদ্যুতিক ও সড়কবাতির খুঁটি। ব্যস্ত সড়কের প্রায় মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে খুঁটিগুলো। সেই খুঁটিগুলোকে পাশ কাটিয়ে চলছে গাড়ি। খুঁটিগুলোর কারণে সড়ক বড় হওয়ার সুফল মিলছে না। যানজটও লেগে থাকছে সব সময়। চকবাজারের কে বি ফজলুল কাদের সড়কের জয়নগর আবাসিক এলাকার প্রবেশপথের সামনের চিত্র এটি।

কে বি ফজলুল কাদের সড়কটির চকবাজার অংশে আগে প্রশস্ত ছিল ৩০ ফুট। এর ফলে ব্যস্ত এ সড়কে দিনভর যানজট লেগে থাকত। তাই ছয় মাস আগে সড়কটি সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন। ১৫ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে সড়কটি।

গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, চকবাজারের অলি খাঁ মসজিদ মোড় থেকে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার মুখ পর্যন্ত ছোট–বড় ১৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে পাঁচটি সড়কবাতির খুঁটি। এই ১৮টি খুঁটির মধ্যে চারটির অবস্থান প্রায় সড়কের মাঝখানে। বাকি খুঁটিগুলোর একাংশ সড়কের ওপর, বাকি অংশ ফুটপাত লাগোয়া। খুঁটির কারণে সড়কের প্রশস্ত হওয়া অংশ দিয়ে গাড়ি চলতে পারছে না। এর ফলে আগের মতোই যানজট লেগে ছিল।

চকবাজার থেকে দুই নম্বর গেট পর্যন্ত চলাচলের জন্য যাত্রীদের অন্যতম বাহন টেম্পো। এই রুটে অন্তত ৭০ থেকে ৮০টি টেম্পো নিয়মিত চলাচল করে। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালের বেশির ভাগ ওই এলাকায় অবস্থিত বলে নিয়মিত রোগী ও তাঁদের স্বজনদের বহনকারী গাড়ির ভিড় থাকে। ফলে সব সময় ব্যস্ত থাকে এ সড়ক।

 এ রুট দিয়ে নিয়মিত টেম্পো চালান আবুল কালাম ও পিন্টু বাবু। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কের অন্য জায়গায় নির্ভয়ে গাড়ি চালাতে পারি। কিন্তু এ জায়গায় (যেখানে খুঁটি আছে) আসলে তটস্থ থাকতে হয়, কখন আবার গাড়ি খুঁটিতে গিয়ে ধাক্কা খায়।’

মোহাম্মদ জসিম ও আব্বাস উদ্দিন নামের আর দুজন চালক বলেন, ‘সড়ক প্রশস্ত হওয়ার পর ভেবেছিলাম যানজট দূর হবে। কিন্তু আড়াই মাসেও খুঁটিগুলো না সরানোয় কোনো সুফল পাচ্ছি না। চালকেরা জানান, খুঁটিগুলোর কারণে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও ছোটখাটো দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে নিয়মিত।’

সিটি করপোরেশনই এই খুঁটিগুলো সরানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, (পিডিবি) চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চট্ট মেট্রো-পূর্ব) সরদার আজম মোহাম্মদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খুঁটিগুলো সরাবে সিটি করপোরেশন। এতে সহায়তা করবে পিডিবি।

সরদার আজম মোহাম্মদ বলেন, এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁটিগুলো সরানো হবে বলে জানিয়েছে তারা। যেদিন তারা বলবে সেদিন ওই এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ (শাটডাউন) রেখে তাদের সহায়তা করা হবে।

তবে সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুঁটিগুলো সরাতে পিডিবির অনুমোদন প্রয়োজন। তাই অনুমোদনের জন্য তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো অনুমোদনের চিঠি হাতে পাইনি। অনুমোদন পাওয়া গেলে সরানো হবে।’