বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খেত আলু বিনষ্টের আশঙ্কা

টানা বৃষ্টিতে আলুখেতে জমেছে পানি। এতে আলু পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় চলছে আলু তোলা। গতকাল চাঁদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে।  ছবি: প্রথম আলো
টানা বৃষ্টিতে আলুখেতে জমেছে পানি। এতে আলু পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় চলছে আলু তোলা। গতকাল চাঁদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো

তিন দিনের টানা বৃষ্টির পানিতে চাঁদপুর সদর উপজেলার অনেক আলুর খেতে পানি জমেছে। কিছু খেত ডুবে গেছে। এ কারণে এসব খেতের আলু পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর চাঁদপুর সদরের মধ্যে বিষ্ণপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ৪৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়া আশিকাঠি ইউনিয়নে ২৯০ হেক্টর, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে ২৬৫ হেক্টর, বাগাদী ইউনিয়নে ২৯৫ হেক্টর, কল্যাণপুর ইউনিয়নে ১৯০ হেক্টর ও মৈশাদী ইউনিয়নে ১০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
বাগাদী গ্রামের রাকিব শেখ বলেন, তাঁদের এলাকায় অধিকাংশ জমিতে এবার আলু রোপণ করা হয়। কিন্তু সোমবার থেকে বৃষ্টির কারণে এসব খেতে পানি জমেছে। এ কারণে তাঁরা কোনো আলুই ওঠাতে পারেননি। গতকালও বৃষ্টি না থামায় এর মধ্যেই তাঁরা আলু তোলা শুরু করেন।

পাশের এলাকার আরেক কৃষক আবদুর রহমান বলেন, এ বছর তিনি এক কানি (প্রায় ১০০ শতক) জমিতে আলু রোপণ করেন। কিন্তু তাঁর সব আলুই পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন লোকজন নিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা করছেন।
শাহমাহমুদপুর ও আশিকাঠি ইউনিয়নের আলুচাষিরা বলেন, আলু ওঠানো শুরু হলেও বৃষ্টির কারণে এখন অধিকাংশ আলুর খেত পানির নিচে ডুবে গেছে। এতে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিল আতিয়া পারভিন বলেন, এ উপজেলায় এ বছর ১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা আলু রোপণ করেছেন। এর মধ্যে ১০ ভাগ আলুও এখনো তোলা হয়নি। ৯০ শতাংশের বেশি আলু জমিতে রয়ে গেছে। এরই মধ্যে গত সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া থেমে অবিরাম বৃষ্টির কারণে এসব খেতে পানি জমেছে। এ কারণে এসব খেতের আলু পানির নিচে পড়ে পচে বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে কৃষকেরা লোকসানের
মুখে পড়েছেন।