আ.লীগ-আ.লীগ লড়াই

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে আজ রোববার চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও দলটির এক ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আলী আশরাফ ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের গোলাম সারোয়ার সরকার। গত বছরের ৮ নভেম্বর সকালে ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মনির হোসাইন খুন হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই নির্বাচন হচ্ছে।

এদিকে গত ১৯ বছরে জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের তিনজন চেয়ারম্যান খুন হয়েছেন। এর মধ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হলেন দুই চেয়ারম্যানসহ এক পরিবারেরই পাঁচ ব্যক্তি। গত বছরের ৮ নভেম্বর সকালে মনির হোসাইন খুন হন। প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে এক সন্ত্রস্ত জনপদের নাম এখন জিয়ারকান্দি। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা ও বিভিন্ন নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম সারোয়ার সরকার বলেন, ‘গত তিন দিনে গোপালপুর, বাগাই রামপুর ও জিয়ারকান্দি এলাকায় পুলিশ আমার নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমার শঙ্কা রয়েছে।’ তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হোক, এটা আমরা চাই। নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো শঙ্কা নেই।’

জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের গোপালপুর, বাগাই রামপুর ও জিয়ারকান্দি গ্রামের অন্তত তিনজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ইউনিয়নে যিনি চেয়ারম্যান হবেন, তাঁর ভাগ্যে কী আছে, জানি না। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এলাকায় নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে হাঙ্গামা হবে। এর দায়ভার কে নেবে? এক অজানা আতঙ্কের মধ্যে এই নির্বাচন হচ্ছে।’

জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ‘তিতাসের পরিস্থিতি কুমিল্লার অন্যান্য থানা থেকে একটু আলাদা। নির্বাচনে প্রশাসন তত্পর রয়েছে।’

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) জাতীয় পার্টির সাংসদ আমির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘তিতাসে হত্যার রাজনীতি বহু আগে থেকেই চলে আসছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনকে এগুলো দূর করার জন্য বলেছি। প্রশাসনও তত্পর রয়েছে।’