সড়কের মধ্যে ৪০টি খুঁটি

বরগুনার আমতলী পৌর শহরে সড়কের মধ্যে প্রায় ৪০টি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। দ্রুত এ খুঁটিগুলো অপসারণের দাবি জানিয়েছেন পথচারী ও পৌরসভার বাসিন্দারা।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ আমতলী উপজেলা শহরে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় আনে। ওই সময়ে কাঠের খুঁটি দিয়ে বিদ্যুতের লাইন চালু করা হয়। ২০১৬ সালে আমতলী পৌর শহরের সড়ক প্রশস্ত করা হয়। ওই সময়ে পৌর কর্তৃপক্ষ খুঁটি অপসারণের জন্য আমতলী পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু খুঁটি সরানো হয়নি। তিন বছর ধরে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সড়কের মধ্যেই রয়েছে।

পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সড়ক, এবিএম চত্বর সড়ক ও চৌরাস্তায় ৪০টি খুঁটি সড়কের মধ্যে রয়েছে। এ খুঁটিগুলোর কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আমতলী থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসের মূল ফটক সামনের সড়কের মাঝখানেও খুঁটি রয়েছে।

ইজিবাইকের চালক ইসহাক মিয়া বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। এসব খুঁটি যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে ফেলা উচিত।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, থানার মূল ফটকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের জন্য বহুবার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কালক্ষেপণ করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রাস্তা প্রশস্ত করার সময় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে খুঁটি অপসারণের জন্য চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা গত তিন বছরে খুঁটি অপসারণ করেনি। দ্রুত খুঁটি অপসারণের জন্য কয়েক দফা চিঠিও দিয়েও কাজ হয়নি।’

তবে আমতলী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন তরাফদার বলেন, খুঁটিগুলো অপসারণের কোনো নির্দেশনা তিনি পাননি। নির্দেশনা পেলে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস দরপত্রের মাধ্যমে খুঁটিগুলো অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মনোহর কুমার বিশ্বাস বলেন, খুঁটি অপসারণের জন্য প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে। জায়গা পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁটি অপসারণ করা হবে।