নির্বাচন ঘিরে গুলিতে যুবলীগ কর্মী নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবদুল খালেক (৪২) নামের এক যুবলীগের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সোলাইমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেছেন, বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সোলাইমান হোসেনের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ঢুকে খালেককে হত্যা করেছে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সোলাইমান হোসেন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে আমার আপন ভায়রা আবদুল খালেককে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সেই দায় আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে করে আমি নির্বাচনী মাঠে না থাকতে পারি।’

নিহত খালেক দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের ঢালবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তিনি দেওয়ানগঞ্জ এ কে মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যুবলীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন তিনি।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মো. মুসলিম উদ্দিন (৩০), ডিঘিপাড়া এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী আনার আলী (৪৫), পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. মামুন (৩৮)। তাঁরা তিনজনই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হতাহতরা সবাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালামের সমর্থক।

দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আমিনুল ইসলাম বলেন, সোলাইমান হোসেনকে প্রধান করে মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।