এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়সহ তিনটি বিল পাস

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

সমতলের মতো পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণে সমতা এনে আইনের সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ‘দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাকস (ল্যান্ড এক্যুজিশন) রেগুলেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৯ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই–বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

বিল অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সরকারি কাজে ভূমি অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিগ্রস্তরা বাজারমূল্যের অতিরিক্ত আরও ২০০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাবেন। বেসরকারি কাজে অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিপূরণ পাবে বাজারমূল্যের সঙ্গে আরও ৩০০ শতাংশ। ৬১টি জেলার সঙ্গে মিল রেখে পাহাড়েও ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাড়ানো হয়েছে।

আরপিও সংশোধনী পাস
জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে আনা সংশোধনী বৃহস্পতিবার পাস হয়েছে। বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই–বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে কয়েকটি সংশোধনী এনে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সে অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সংসদে পাসের মধ্য দিয়ে অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হচ্ছে।

এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস
দেশে এভিয়েশনসংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৯’ পাস হয়েছে। গত বছর জারি করা একটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে এই বিল পাস করা হয়।

বিলে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনী একাডেমি, ফ্লাইং ইন্সট্রাকটর স্কুল, ফ্লাইট সেফটি ইনস্টিটিউট, কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, অফিসার্স ট্রেনিং স্কুল নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এভিয়েশন, এভিয়েশনসংক্রান্ত প্রকৌশল, এভিয়েশন ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধ কৌশল, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান, গবেষণা করবে।