চলছে গণিত নিয়ে আনন্দ উৎসব
রঙিন বেলুন উড়িয়ে ঢাকার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে জাতীয় গণিত উৎসব শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডাচ–বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৯ ও ১৭তম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড শুরু হয়। ডাচ–বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি এই উৎসবের আয়োজন করেছে।
এবারের আসরে চূড়ান্ত পর্বে ১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর আগে জেলা পর্যায়ে বাছাই পর্ব ও ১২টি আঞ্চলিক উৎসব পার হয়ে তারা চূড়ান্ত পর্বে এসেছে। সকালে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডাচ–বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন বলেন, গণিতে যারা ভালো করে, তারা ভালো ছাত্র। তাদের শিক্ষকেরা পছন্দ করে। সহপাঠীরাও স্নেহ করে। তারাই ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়। নতুন নতুন উদ্ভাবন করে।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, গণিত অলিম্পিয়াডের এবারই সবচেয়ে বড় আসর। এবার ৬৪ জেলার ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। আজ চূড়ান্ত পর্ব। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করেই গণিত অলিম্পিয়াডের কর্মকাণ্ড। তোমাদের যোগ্য হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে বিশ্ব আসনে আরও স্বীকৃতি আনতে পারো। আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা দেশের জয় দেখতে চাই। নানা দিকে নানা অগ৶যাত্রা হচ্ছে। তবে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তা আমরাই সমাধান করব।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল—এই তিনটি বিষয়ে গণিতের বিরাট গুরুত্ব। আমাদের প্রয়োজন গণিতের ভিত্তি শক্ত করা। গণিতের ভীতি দূর করা। গণিতকে শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দময় করে তোলা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি মনিবুর রহমান চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, বিজ্ঞানী রেজাউর রহমান, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক। গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমুখ।
আজ উৎসবের প্রথম দিনে প্রাথমিক, জুনিয়র, সেকেন্ডারি, হায়ার সেকেন্ডারি চার ক্যাটাগরিতে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা শেষে বিকেলের দিকে সিসিমপুরসহ নানা অনুষ্ঠান হবে।