ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে ২১ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যায় দ্রুত অভিযোগপত্র প্রদান ও বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। 

বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, ‘মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ছয় বছর পূর্ণ হলেও আজ পর্যন্ত সে হত্যার অভিযোগপত্র আদালতে প্রদান না করায় আমরা উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। অথচ এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর না যেতেই মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব কেন, কখন, কোথায়, কারা, কীভাবে ত্বকীকে হত্যা করেছে—তা সংবাদ সম্মেলন করে জানায়। তখন তারা একটি খসড়া অভিযোগপত্র সংবাদকর্মীদের মাঝে সরবরাহ করেন এবং তা অচিরেই আদালতে পেশ করা হবে বলে জানান। যা আমরা সংবাদপত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সে সময় জানতে পারি। অথচ আজও সে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয় নাই।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটা কোনো সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার নজির হতে পারে না। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার সংবিধান নিশ্চিত করেছে। অপরাধীর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দুর্বলতা প্রদর্শন ও বৈষম্য শুধু আইনের ব্যত্যয়ই নয় তা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও অসম্মান প্রদর্শন। যে বিচারের জন্য দেশের সকল মানুষ সোচ্চার হয়েছে সে বিচারকে এভাবে বন্ধ করে রাখা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা রাষ্ট্রের এ অবস্থানের নিন্দা জানাই এবং অচিরেই ত্বকী হত্যার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ভাষাসংগ্রামী লেখক রবীন্দ্র-গবেষক আহমদ রফিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুর ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ রবীন্দ্র-গবেষক ড. সনজীদা খাতুন, ভাষাসংগ্রামী সাংবাদিক কামাল লোহানী, কথা-সাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার, শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, লেখক গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, মানবাধিকার সংগঠক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, শিক্ষাবিদ গবেষক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, নারী নেত্রী ড. মালেকা বেগম, শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক শফি আহমেদ, লেখক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, অধ্যাপক এম এম আকাশ ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।