সাড়ে তিন লাখ মানুষের সেবায় তিন চিকিৎসক

স্বাস্থ্যসেবায় নাটোরের গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ নির্ভরশীল। এই হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১৭টি। সেখানে বর্তমানে মাত্র তিনজন চিকিৎসক কর্মরত। চিকিৎসক–সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।

প্রায় এক যুগ ধরে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট। আধুনিক ভবনসহ প্রসূতি বিভাগে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম থাকলেও রয়েছে অবেদনবিদ ও গাইনি চিকিৎসকের অভাব । যাতায়াতের সুবিধা থাকায় আশপাশের তাড়াশ, সিংড়া এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দারাও এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আবাসিক চিকিৎসক মো. রবিউল করিম, চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান ও মো. আলতাব হোসেন পালাক্রমে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। গাইনি ও অর্থোপেডিক চিকিৎসক এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ চিকিৎসকের ১৪টি পদ শূন্য রয়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, চিকিৎসক কামরুল হাসান জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসক–সংকটের কারণে দূর–দূরান্ত থেকে রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

আবাসিক চিকিৎসক মো. রবিউল করিম বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৩৫০ জন রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তি রোগী থাকে গড়ে ৩০-৫০ জনের মতো। অন্তত সাতজন চিকিৎসক থাকলেও এখানে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে। একই সঙ্গে ওয়ার্ডবয়, আয়া, সুইপার, নিরাপত্তাপ্রহরী, এলএমএসের পদও শূন্য রয়েছে এখানে।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। নাটোরের সিভিল সার্জন মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক–সংকট দেশজুড়েই রয়েছে। সরকারিভাবে নতুন চিকিৎসক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হবে না।