মিয়ানমারের সেনাসদস্যকে হস্তান্তর

পতাকা বৈঠকের পরই মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশের (বিজিপি) সদস্য অং বোবো থিনকে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুসংলগ্ন শূন্যরেখা, ঘুমধুম সীমান্ত, নাইক্ষ্যংছড়ি, ৩ মার্চ। ছবি: বাসস
পতাকা বৈঠকের পরই মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশের (বিজিপি) সদস্য অং বোবো থিনকে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুসংলগ্ন শূন্যরেখা, ঘুমধুম সীমান্ত, নাইক্ষ্যংছড়ি, ৩ মার্চ। ছবি: বাসস

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশের (বিজিপি) সদস্য অং বোবো থিনকে (৩০) সে দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোববার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুসংলগ্ন শূন্যরেখায় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর তাঁকে হস্তান্তর করা হয়।

পতাকা বৈঠকে ৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আসাদুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ। অন্যদিকে ১২ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ১ নম্বর বিজিপি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ) লে. কর্নেল জ উই লিয়াং।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদলের প্রধান ও নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো.আসাদুজ্জামান বলেন, উভয় দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা ও সমন্বয়ের পর বিজিপির আটক সদস্যকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিয়ানমার বাহিনী তাদের সদস্যকে ফিরে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছে। এ জন্য তারা বিজিবি ও বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

গত ২৪ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভাল্লুক খাইয়া বিজিবি ক্যাম্পের ৭০০ গজ পূর্ব-দক্ষিণে ৪৯ নম্বর সীমান্ত পিলারের বামহাতিরছড়া স্থান থেকে অং বোবো থিনকে আটক করে বিজিবি। ওই সময় তাঁর পরনে ছিল বিজিপির পোশাক। তিনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এলআইবি-২৮৭ ব্যাটালিয়নের সদস্য। এক বছর আগে তিনি কাচিন প্রদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যের বান্ডুলা ৫০ বিজিপি ক্যাম্পে বিজিপিতে প্রেষণে নিয়োগ পান।