স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সাতক্ষীরায় ২০০৬ সালে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম সিদ্দিক গাজী (৩৮)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের ওহেদ আলী গাজীর ছেলে।

আদালত ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে সিদ্দিক গাজীর সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর গ্রামের আরশাদ গাজীর মেয়ে রিক্তা সুলতানার (২৪) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে রিক্তার ওপর নির্যাতন চালাতেন সিদ্দিক গাজী। তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে সিদ্দিক ব্যবসার জন্য রিক্তাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন। রিক্তা এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে। এর জের ধরে সিদ্দিক একই বছরের ২৭ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে রিক্তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে তাঁর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে প্রচার করে, রিক্তা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।

এ ঘটনায় রিক্তার বাবা আরশাদ গাজী রিক্তার স্বামী সিদ্দিক গাজী, শ্বশুর ওহেদ আলী গাজী, শাশুড়ি মর্জিনা খাতুন ও দেবর খোকন গাজীকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বিষের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মন্তব্য করা হয়, বেধড়ক মারধরের কারণে রিক্তা সুলতানার মৃত্যু হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক বাবুল আক্তার তদন্ত শেষে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে ২০০৬ সালের ৩০ জুলাই সিদ্দিক গাজীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আজ রায় দেন।