মঠবাড়িয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৩

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, ৪ মার্চ। ছবি: এ কে এম ফয়সাল
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, ৪ মার্চ। ছবি: এ কে এম ফয়সাল

পিরোজপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা পরিষদ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের বড় ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সমর্থকদের নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারফের সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল উপজেলা পরিষদ এলাকায় রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (৪৫), রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান (৩০) ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. শুভ (২৫) আহত হন। গুরুতর আহত রফিকুল ইসলামকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থকদের ১৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বড়মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন, যুবলীগের নেতা কালাম মোল্লা ও বাবু শরীফের নেতৃত্বে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়।

বড়মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসাইন মোশারেফের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আমরা মিছিল করে রিয়াজ উদ্দিনের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রিয়াজের লোকজন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ওপর ইট নিক্ষেপ করে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।