এ বছরের মধ্যেই পূর্বাচলের প্লট হস্তান্তর

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

এ বছরের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের পূর্বাচল প্রকল্পের প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আজ সোমবার সংসদে সরকারি দলের সাংসদ র আ ম উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ২৪ হাজার ৬৯৬টি প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার জনকে চূড়ান্তভাবে প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে। উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় অবশিষ্ট প্লট বরাদ্দ পাওয়াদের বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ২০১৯ সালের মধ্যে উন্নয়নকাজ শেষ করে বাকিদের অনুকূলে প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, রাজউক রাজধানীতে ২০১০ সালে প্রাথমিকভাবে ৩২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে। পরে ২০১৬ সালে ওই ভবনগুলো আবারও জরিপ করে দেখা যায়, ২৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিদ্যমান রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২২০টি বাহ্যিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া বাকি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে ২৫টি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং বাকিগুলো ভেঙে সেই স্থানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ ও ভেঙে ফেলার দায়িত্ব ঢাকা সিটি করপোরেশনের।

মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে বর্তমানে পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে ছয় হাজার ৪০৯টি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত পরিত্যক্ত বাড়িগুলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং ডিমান্ড নোট হোল্ডারদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ করা বাড়ি হতে কিছু বাড়ি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বরাদ্দ প্রাপক ও ডিমান্ড নোট হোল্ডারদের অনুকূলে বিক্রি করা হয়েছে। কিছু বাড়ি মালিকদের অনুকূলে অবমুক্ত করা হয়েছে।