নিষেধাজ্ঞায় তোয়াক্কা নেই

ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের ‘বাস থামানো নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ডের পাশে চলছে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা–নামানো। রোববার মহাখালী উড়ালসড়কে।  ছবি: প্রথম আলো
ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের ‘বাস থামানো নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ডের পাশে চলছে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা–নামানো। রোববার মহাখালী উড়ালসড়কে। ছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীর গেট থেকে মহাখালী যাওয়ার দিকে বিএএফ শাহীন কলেজ ছাড়িয়ে একটু সামনে মহাখালী উড়ালসড়কের শুরুর অংশে ঝুলছে ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা ‘বাস থামানো নিষেধ’। কিন্তু সাইনবোর্ডের নিষেধাজ্ঞাতে ভ্রুক্ষেপ নেই চালক, সহকারী, যাত্রী কারোরই। প্রায় সব সময়ই এখানে বাস থামছে। যাত্রীরা উঠছে–নামছে।

গত রোববার দুপুরেও একের পর এক বাসে উড়ালসড়কের ওই অংশে ট্রাফিক পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এভাবে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা–নামা করতে দেখা গেছে।

দেখা গেল উড়ালসড়কটির শুরুতেই নিষেধাজ্ঞাটি ঝুলছে। তার সামনেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল অনেক যাত্রী। সূর্য খানিক পশ্চিমে হেলে পড়ায় সাইনবোর্ডের একটু ছায়া পড়েছে নিচে। সেখানেও দাঁড়াচ্ছিল কেউ কেউ। উড়ালসড়কে বাস ব্যবহারকারী গুলিস্তান-আবদুল্লাহপুরগামী পরিবহন (৩ নম্বর গাড়ি), আজিমপুরের বিকাশ পরিবহন, ভিআইপি পরিবহন এবং মোহাম্মদপুরের ভূঁইয়া পরিবহনের প্রতিটি বাস ওই নিষেধাজ্ঞার সামনেই থামছিল। যেন সাইনবোর্ডে লেখা নিষেধাজ্ঞাটি দেখতেই পাচ্ছে না কেউ।

 উড়ালসড়কের মুখে বাস থামিয়ে এভাবে যাত্রী তোলা–নামা করায় কিছুক্ষণ পরপরই সেখানে একটু করে যানজটও লেগে যাচ্ছিল। জাহাঙ্গীর গেটের সিগন্যাল ছাড়িয়ে ছুটে আসা মোটরসাইকেল কিংবা ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকেও যাত্রীবাহী বাসের হঠাৎ থেমে যাওয়ায় গতি কমিয়ে থামাতে হচ্ছিল।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাস থামানো সম্পর্কে চালক ও সহকারীরা বলেন, গাড়ি উড়ালসড়ক দিয়ে যাবে, তাই মহাখালীর যাত্রীরা এখানেই নামতে চায়। যাত্রী নামানোর সময় অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও জোর করে উঠে পড়ে। আর যাত্রীরা বলছে, ওই জায়গায় দাঁড়ালে বনানী, বিমানবন্দর, উত্তরা যাওয়ার বাস সহজেই পাওয়া যায়।

প্রকৃতপক্ষে বাস থামানোর বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের যথাযথ নজরদারি না থাকার সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের চালক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পশ্চিম শেরেবাংলা অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) বদরুজ্জামান বলেন, পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে পিক আওয়ারগুলোতে সিগন্যাল ছেড়ে অন্য জায়গায় নজরদারি করা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে নিষেধাজ্ঞার ওই জায়গাটিতে নজরদারি বাড়ানো হবে, যাতে নির্দেশনাটি মেনে চলা হয়।