গাংনীতে বিদ্রোহী ছয়জন

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেহেরপুরের তিন উপজেলার মধ্যে দুটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে এই দুই উপজেলার নৌকার প্রার্থীরা। তবে গাংনীতে দলীয় প্রার্থীর বাইরে আরও ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন।

সদরে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হলেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়ারুল ইসলাম ও মুজিবনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস।

গাংনীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম খালেক। এখানে দলীয় প্রার্থীর বাইরে আরও ছয়জন স্বতন্ত্র প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেসর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কে এম শফিকুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম, আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিরুল ইসলাম।

এ ছাড়া গাংনীতে আওয়ামী লীগের শরিক দলের মধ্যে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য কমরেড আবদুল মাবুদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। তবে জেলার কোথাও বিএনপি বা তাদের শরিক দলের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দেননি।

গাংনীতে দলীয় একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা দলের জন্য নিঃস্বার্থ শ্রম দেন, তাঁদেরই দলীয় প্রতীক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের মনোনয়নের বাইরে যাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইবেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের স্বার্থে কাজ করেন না বলে বিবেচিত হবে।

তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলেন, দলীয় প্রার্থী এম এ খালেকের গলার কাঁটা উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিরুল ইসলাম। মজিরুল যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেন, তবে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে মজিরুলকে নির্বাচন থেকে সরাতে নেতারা বৈঠক করে চলেছেন।

তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের জন্য ১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ১৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।