ভেজালবিরোধী অভিযান চলবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্যের মান ফিরে না আসা পর্যন্ত ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজ বুধবার সংসদে সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবেই বাড়ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে বর্তমানে তা বেড়ে ৪ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। উৎপাদনশীলতার ধারবাহিকতায় দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

কুড়িগ্রাম-১ আসনের আছলাম হোসেন সওদাগরের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত। আমাদের দেশের জনগণ খরা, বন্যা, সাইক্লোনসহ নানা দুর্যোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে অভ্যস্ত।’

মেহেরপুর-২ আসনের মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতা দরকার। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা সংসদকে সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। সংসদের বিরোধী দলের সদস্যদের সমন্বয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছি।’

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এম এ মতিনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ৯৩ শতাংশ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। বাকি ৭ শতাংশ গ্রাহককে আগামী ২০১৯-২০ সালের মধ্যেই এ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

শাজাহান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্পকারখানায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।