৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের সম্পত্তি: প্রধানমন্ত্রী

৭ মার্চ নিয়ে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ অধিবেশন, ঢাকা, ৭ মার্চ। ছবি: বাসস
৭ মার্চ নিয়ে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ অধিবেশন, ঢাকা, ৭ মার্চ। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। এ ভাষণে যুদ্ধের প্রস্তুতিসহ প্রতিটি বিষয়ে দিকনির্দেশনা ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ নিয়ে জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার পর ৭ মার্চ নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা অসহযোগের ডাক দিয়েছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সশস্ত্র যুদ্ধের পথে নিয়ে যান। এ ভাষণে যুদ্ধের প্রস্তুতিসহ প্রতিটি বিষয়ে দিকনির্দেশনা ছিল। খুব সাধারণভাবে নিজের বক্তব্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। মানুষ তা গ্রহণ করেছিল।

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু সুকৌশলে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ভাষণে একদিকে যেমন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যে কারণে পাকিস্তানিরা বিচ্ছিন্নবাদী অপবাদ দিতে পারেনি। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের মতো এমন ভাষণ নেই, যা বছরের পর বছর মানুষ শুনছে। এই ভাষণের আবেদন এখনো প্রবল। মানুষ এখনো এই ভাষণ শুনলে উদ্বুদ্ধ হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের জনসভার কথা কাউকে বলতে হয়নি। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যে যেভাবে পেরেছে, সবাই ছুটে এসেছে। তারা এসেছিল নির্দেশ নিতে। সবাই তৈরি হয়ে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এই ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বহু নেতা–কর্মী এ ভাষণ বাজাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন, হতাহতও হয়েছেন।

অন্যদের মধ্যে সাংসদ আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক, গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।