মূলত বাবাই লড়বেন, ছেলে 'ডামি'

ফিরোজুর রহমান ও শেখ ওমর ফারুক
ফিরোজুর রহমান ও শেখ ওমর ফারুক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাবা ও ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত সোমবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা। তাঁরাসহ এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ওই দুজন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ফিরোজুর রহমান ও তাঁর ছেলে শেখ মো. ওমর ফারুক। তিনি বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করেন।

ফিরোজুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, মূলত ফিরোজুর রহমানই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ওমর ফারুক ‘ডামি’ প্রার্থী। কোনো কারণে ফিরোজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল হলে ওমর ফারুক ভোট করবেন। ফিরোজুর সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) টানা পাঁচবারের চেয়ারম্যান। এবার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের থেকে পদত্যাগ করেছেন।

জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, ‘যেকোনো কিছুর বিনিময়ে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তি ও তাঁর সমর্থকেরা হয়তো সুষ্ঠুভাবে আমাদের নির্বাচন করতে দেবেন না। মনোনয়নপত্র বাতিল করার চেষ্টাও তাঁরা করেছিলেন। আমার বাবা ও আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাবার জন্যই আমি প্রার্থী হয়েছি। ১৩ মার্চ আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেব।’

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে জেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করে। এতে গোপন ব্যালটে নেওয়া ভোটে প্রথম হন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম। ফিরোজুর রহমান দ্বিতীয় হন। জেলা আওয়ামী লীগ তিনজনের নাম কেন্দ্রে পাঠায়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ভোটে তৃতীয় হওয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেয়। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ফিরোজুর রহমান। এরপর তিনি ও তাঁর ছেলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ওই তিনজন ছাড়া সৌদি আরবের রিয়াদ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিম রেজা ও ইসলামী ঐক্যজোটের কাউছার মোল্লা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘আলোচনা আছে, ভোটে তৃতীয় হওয়া ব্যক্তি কোটি টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন এনেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখনোই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চাইনি। সদর উপজেলার মানুষ আমাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য পাগল করে ফেলেছেন।’