ক্ষমতায় যেতে বিএনপি ইসলামকে ব্যবহার করে: তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সব সময়ই ইসলামকে ব্যবহার করেছে এবং এখনো করছে। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা বাংলাদেশের ধর্মভীরু মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ধর্মকে ব্যবহার করলেও বিএনপি কখনোই এ দেশে ইসলামের খেদমতের জন্য কিছুই করেনি; বরং ইসলামের কথা বলে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আলেম সমাজের মাথায় কাঁঠাল ভেঙেই বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেছে। তবে আলেম সমাজের উপকারে কোনো কাজ তারা করেনি।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে, ধর্মের কথা বলে বিএনপি-জামায়াত মানুষের ভোট নিয়েছে। কিন্তু আলেম সমাজের জন্য তারা কোনো কাজ করেনি। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য, আলেম সমাজের জন্য অনেক কাজ করেছেন। বাংলাদেশের আলেমদের শতবর্ষের দাবি ছিল একটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। তবে অনেকেই ক্ষমতায় এলেও আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। শত বর্ষের দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।’

ইসলামকে যাঁরা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেন, তাঁরা ইসলামের খেদমতগার নন—এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি অনেক পুরোনো দাবি এবং এই দাবির কথা অনেকেই মন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে দাবি পূরণ হয় নাই। বিএনপি-জামায়াত ইসলামের কথা বলে ক্ষমতায় গেলেও কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দেয় নাই। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার সনদ এখন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ডিগ্রির সমমানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধু স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, এ নিয়ে সংসদে আইন পাস করা হয়েছে।’

ধর্ম নিয়ে যেমন বিএনপি রাজনীতি করে, তেমনি বেগম জিয়ার শারীরিক সমস্যা নিয়েও বিএনপি রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই প্রচার সম্পাদক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের চিকিৎসা করতে এসে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দল ও ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকে বিশ্বমানের বলে অভিহিত করছেন। অথচ বিএনপির নেতারা এই মেডিকেলের সেবার মান নিয়ে অভিযোগ করছেন। এতেই বোঝা যায় বিএনপি খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।

সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রমুখ।