বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুর লাশ উদ্ধার

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ মেয়ে সাহিদা ও দুই নাতনি। আহাজারি করছেন লতা বেগম। ছবি: দীপু মালাকার
বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ মেয়ে সাহিদা ও দুই নাতনি। আহাজারি করছেন লতা বেগম। ছবি: দীপু মালাকার

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে একই পরিবারের ছয়জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এক শিশুর ভেসে ওঠা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর বাদামতলী ঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নৌ পুলিশ তা উদ্ধার করে।

শিশুটির নাম মাহী (৬)। তাঁর মা ও বোন এখনো নিখোঁজ। এর আগে গতকাল শুক্রবার ওই পরিবারের আরেক সদস্য জামসিদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশু মাহীর মৃতদেহ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বাদামতলী ঘাট এলাকা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ নিয়ে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ অন্যদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

বুড়িগঙ্গা নদীতে উদ্ধার অভিযান চলছে। ছবি: দীপু মালাকার
বুড়িগঙ্গা নদীতে উদ্ধার অভিযান চলছে। ছবি: দীপু মালাকার

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে একই পরিবারের ছয়জন নিখোঁজ হন। নিখোঁজ পরিবারটির মধ্যে ছয় মাস থেকে আট বছর বয়সী তিন শিশু রয়েছে। লঞ্চের পাখার আঘাতে ওই পরিবারের সদস্য শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পোশাকশ্রমিক শাহজালাল মিয়া (৩৮) তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে, বোন, বোনজামাই ও ভাগনে জুনায়েদকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচর থেকে নৌকায় করে রওনা দিয়েছিলেন। ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে সুরভি-৭ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। এতে নিখোঁজ হন শাহজালালের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৩২), দুই মেয়ে মিম (৮) ও মাহী (৬), শাহজালালের বোন জামসিদা বেগম (২০), বোনজামাই দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও তাঁদের ছয় মাস বয়সী সন্তান জুনায়েদ। গতকাল দুপুরে জামসিদার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বাড়ি শরীয়তপুরের সখীপুর থানার জাফর আলী মালের কান্দি এলাকায়।

আরও পড়ুন: