৮০০ পর্যটন স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানিয়েছেন, দেশে প্রায় ৮০০টি পর্যটন স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সাংসদ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মাহবুব আলী বলেন, পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোতে উন্নত অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটন–সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

হবিগঞ্জ-১ আসনের গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিমানের লোকসানের পরিমাণ ২০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। উড়োজাহাজের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে খরচ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও এয়ারক্র্যাফট ক্রু মেইনটেন্যান্স ইনস্যুরেন্স (এসিএমআই) ভিত্তিতে উড়োজাহাজ ব্যবহারের কারণে লোকসান হয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ৫৩টি দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিভিন্ন বিমান সংস্থা বাংলাদেশে সপ্তাহে ৩২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। এর মধ্যে ভারত ৫৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭৮টি, মালয়েশিয়া ৪২টি, সিঙ্গাপুর ১৬টি, ভুটান ৪টি, কাতার ২৯টি, থাইল্যান্ড ২১টি, পাকিস্তান ৪টি, কুয়েত ১২টি, সৌদি আরব ৩১টি, শ্রীলঙ্কা ৭টি, চীন ১৬টি, বাহারাইন ৫টি, আজারবাইজান ৩টি ও ওমান ৪টি।

সরকারি দলের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সারাদেশে ২ লাখ ৮৫ হাজার ২৮১ ভূমিহীন পরিবারকে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৯১ দশমিক ৭৫ একর খাসজমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি দলের হাজি সেলিমের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে খাজনা আদায়ে ২০০৪ সালে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তবে, প্রকল্পটি নানা কারণে ফলপ্রসূ হয়নি। এ বিষয়টি আবার যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে ব্যাংকের মাধ্যমে জমির খাজনা আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।