হেফাজতের আমির নিয়ে সংসদে ধৃষ্টতা উচিত নয়

জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ।
জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ।

হেফাজতে ইসলামের আমির ও কওমি মাদ্রাসাকে কটাক্ষ করে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ওই বক্তব্য কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার (এক্সপাঞ্জ) দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ফিরোজ রশীদ এ দাবি জানান। তিনি বলেন, হেফাজতের আমির, তিনি একজন বর্ষীয়ান নেতা। সারা জীবন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। তাঁদের অনেক ছাত্র-ভক্ত রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এই সংসদে কটাক্ষ করে কথা বলা হয়েছে। তেঁতুল হুজুর বলে তাঁকে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাঁকে বিদ্রূপ করা হয়েছে। এ ধরনের ধৃষ্টতা সংসদে উচিত নয়।

এর আগে ৩ মার্চ কওমি মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে নিয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়েছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তাঁর বক্তব্যের জের ধরে হেফাজতসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি সংগঠন সভা–সমাবেশ ও​ বিক্ষোভ করেছে।

মেননের সংসদে দেওয়া বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য, যিনি আগে মন্ত্রী ছিলেন, এই সংসদে ধান ভানতে শিবের গীত গেয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কওমি মাদ্রাসা নিয়ে অনেক বেহুদা কথা বলেছেন। কওমি মাদ্রাসা নাকি বিষবৃক্ষ। অথচ এই সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা দাওরায়ে হাদিসের স্বীকৃতি দিতে সর্বসম্মতিক্রমে আইন পাস করেছি। এটা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এটা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ জন্য সব কওমি মাদ্রাসা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখানে তো কোনো মোল্লাতন্ত্র বা দেশ দখলের ষড়যন্ত্র হয় না।’

ফিরোজ রশীদ সংসদে বলেন, ২০ হাজার কওমি মাদ্রাসা আছে। ২০ লাখ ছাত্র এতে কোরআন–হাদিস নিয়ে পড়াশোনা করেন। কঠিন ইসলামিক ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে তাঁদের চলতে হয়। তাঁরা স্কুল–কলেজের ছাত্রদের মতো ঘি-মাখন–পরোটা খেতে পারেন না। যা জোটে তা–ই খান। কওমি মাদ্রাসায় মাদক, ইয়াবা, গাঁজা নিষিদ্ধ। ধূমপান এখানে চলে না। আমাদের স্কুল–কলেজ, ইউনিভার্সিটি ও বাড়িঘরে এই মাদক ঢুকে পড়েছে। কিন্তু কওমি মাদ্রাসায় ঢুকতে পারে না। আমরা রক্ত পরীক্ষা করলে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতভাগ ‍পিওর রক্ত পাব। কিন্তু স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীদের রক্ত পরীক্ষা করলে ৫০ ভাগও পিওর (বিশুদ্ধ) রক্ত পাব না।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা, কমিশন গঠনের দাবি

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে কারা জড়িত ছিল, তা বের করতে একটি কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান।

শেখ সেলিম জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে ‌‘সুযোগসন্ধানী’ ও ‌‘মতলবাজ’ অভিহিত করে বলেন, ‘উনি (ড. কামাল) যে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন না, তা কীভাবে বলা যায়?’