ছাত্রলীগ ছাড়া বাকিদের ভোট বর্জন

অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অনিয়মের অভিযোগের পাশাপাশি পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে কয়েকটি সংগঠন আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে মধুর ক্যানটিনে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ফেডারেশন একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। তারা একই সঙ্গে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য থেকে সহসভাপতি প্রার্থী লিটন নন্দী এ ঘোষণা দেন।

এর কিছুক্ষণ পর মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। তাদের সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এ ঘোষণা দেন ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

ভোট বর্জনের পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ। ছবি: দীপু মালাকার
ভোট বর্জনের পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ। ছবি: দীপু মালাকার

দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর বহুল আলোচিত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্যানেল ও স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ২১ জন শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন।

তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁরা নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। অবশ্য রাকিবুল বলেন, তাঁরা ভোট বর্জন করেননি।