বুড়িগঙ্গায় ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

বুড়িগঙ্গা নদীতে বড় বড় লঞ্চ ও মাটি ও বালুবাহী ট্রলারের সামনে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় করে চলাচল করছেন যাত্রীরা। সদরঘাট, রাজধানী। ছবি: আশরাফুল আলম
বুড়িগঙ্গা নদীতে বড় বড় লঞ্চ ও মাটি ও বালুবাহী ট্রলারের সামনে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় করে চলাচল করছেন যাত্রীরা। সদরঘাট, রাজধানী। ছবি: আশরাফুল আলম

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে মাটিবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সত্যেন্দ্রনাথ সঞ্জয় দাসের (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ট্রলারের ভেতরে আটকা পড়ে ছিলেন তিনি।

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় লাশটি উদ্ধার হয়। নিহত সঞ্জয়ের বাড়ি সুনামগঞ্জের সল্লা উপজেলায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারটির যাত্রীরা সবাই মাটিকাটার শ্রমিক ছিলেন। কেরানীগঞ্জে কাজ শেষে তারা ফতুল্লায় যার যার বাড়িতে ফিরছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রোববার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কুইচ্চামার এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ৫১জন যাত্রী নিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলারটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলাঘাটের উদ্দেশে রওনা করে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ট্রলারটি নদীর মাঝপথে পৌঁছালে সদরঘাট থেকে ছেড়ে মাটিবাহী ট্রলারটি এটিকে ধাক্কা দেয়। তাকওয়া নামের মাটিবাহী ট্রলারটি মেঘনাগামী ছিল। ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পরলেও সঞ্জয় নামের ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন। তীরে উঠে আসা যাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন আহত হন। পরে তাদের আশপাশের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, দুপুর ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির সন্ধান পায় ডুবুরি দল। ট্রলারটি টেনে তীরে এনে তল্লাশি চালালে এর ভেতরে সঞ্জয় দাসের লাশ মরদেহ পাওয়া যায়। লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর কেউ নিখোঁজ না থাকায় দুপুর সাড়ে ১২টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।

পাগলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ (পরিদর্শক) সামসুল ইসলাম জানান, নিহত সঞ্জয়ের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক ঘাতক ট্রলারের মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।