নামী রেস্তোরাঁতেও খাবারের নামে দেওয়া হচ্ছে অখাদ্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থী রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয়। খেতে বসেই অভক্তিতে বিষিয়ে উঠল তাঁদের মন। কারণ, তাঁদের প্লেটে পরিবেশন করা মাংসে তখনো লেগে ছিল তাজা রক্ত, যে কোমল পানীয় দেওয়া হয়েছিল, তা–ও ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। গত রোববার দিবাগত রাতে নগরের ‘মাস্টার শেফ’ নামের চাইনিজ রেস্তোরাঁয় পরিবেশিত খাবারের এই অবস্থা দেখে ওই শিক্ষার্থীরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন।

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের হল সমাপনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ওই চাইনিজ রেস্তোরাঁয় এ নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষার্থীরা রাতে রেস্তোরাঁটিতে গিয়ে দেখেন, তাঁদের যে রোস্ট পরিবেশন করা হয়েছে, সেটা ঠিকমতো রান্না হয়নি। মাংসে লেগে আছে রক্ত। আর যে কোমল পানীয় দেওয়া হয়েছে, সেগুলোরও কোনোটির মেয়াদ ছিল গেল বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বর পর্যন্ত। এসব দেখে খেপে ওঠেন তাঁরা। শুরু হয় হট্টগোল। তখন রেস্তোরাঁর কর্মীরা সেগুলো সরিয়ে নিতে চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা তা আটকে রেখে দেওয়া বিল ফেরত নিয়ে নেন। এরপর তাঁরা বিষয়টি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এ সময় রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক সটকে পড়েন। শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও রেস্তোরাঁর মালিক এস এম সিহাবকে পাননি।

অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক উজ্জ্বল সরকার বলেন, তাঁদের খাবার তালিকায় ছিল থাই স্যুপ, অন্থন, হায়দরাবাদি বিরিয়ানি, মাটন, রোস্ট, কাবাব, সালাদ এবং পানি। কিন্তু শুরুতেই খাবারের এ অবস্থা দেখে তাঁদের রুচি নষ্ট হয়ে যায়।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক আলিফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের কোমল পানীয় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই শিক্ষার্থীদের খেতে বসিয়ে পাশের একটি দোকান থেকে কোমল পানীয় আনা হয়েছিল। তাড়াহুড়ায় তখন এর তারিখ দেখা হয়নি। এ জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। তবে মাংসে রক্ত থাকার কথা নয়।’

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, এ ব্যাপারে তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন।