শনাক্ত আরও ৫ মরদেহ, বাকি দুটি কাদের?

চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের পরবর্তী অবস্থা। প্রথম আলো ফাইল ছবি
চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের পরবর্তী অবস্থা। প্রথম আলো ফাইল ছবি

চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও পাঁচ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৬টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। তবে মর্গে এখনো দুটি মরদেহ রয়েছে। যাঁদের সঙ্গে কারও ডিএনএর মিল পাওয়া যায়নি।

আজ মঙ্গলবার মালিবাগে সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। মরদেহ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন হাজি ইসমাইল, ফয়সাল সারোয়ার, রেনুমা তাবাসসুম দোলা, মোস্তফা ও মো. জাফর।

শেখ হিমায়েত হোসেন জানান, এখনো দুটি মরদেহ ও তিনটি পরিবারের ডিএনএ নমুনা তাঁদের কাছে রয়েছে। তবে ওই দুই মরদেহের সঙ্গে এই তিন পরিবারের কারও ডিএনএর নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। তাই এগুলো মর্গে থাকবে। কেউ মরদেহগুলোর দাবি করলে তাঁর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মেলানো হবে।

হিমায়েত হোসেন আরও বলেন, ‘মরদেহ শনাক্তের কাজটি দুরুহ ও সময়সাপেক্ষ ছিল। আমরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দুটি ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে পাঠাই এবং আলামত সংগ্রহ করি। এ ছাড়া ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর অন্যান্য রুটিন কাজ বাদ দিয়ে পরিচয় শনাক্তের কাজটিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করেছি।’

এর আগে ৬ মার্চ ১১ জনের মরদেহ শনাক্ত করেছে সিআইডি। তাঁরা হচ্ছেন ফাতেমাতুজ জোহরা, সালেহ আহমেদ, মো. ইব্রাহীম, মো. এনামুল হক, তানজীল হাসান, নাসরিন জাহান, মো. শাহীন আহমেদ, হাসান উল্লাহ, দুলাল কর্মকার, নুরুজ্জামান ও নুরুল হক।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। যা পুরো গলি ও আশপাশের কয়েকটি ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট রাতভর চেষ্টা চালিয়ে ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মোট ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছিল বলে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ ছাড়া আহত ও দগ্ধ অবস্থায় মারা যান চার চিকিৎসাধীন ব্যক্তি। তবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া অনেক মরদেহই অঙ্গার থাকায় তাঁদের পরিচয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে এঁদের পরিচয় শনাক্ত করতেই গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজন দাবিদারদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।