শিশু আলিফ হত্যা মামলার তিন আসামি রিমান্ডে

মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি
মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি

ঢাকার যাত্রাবাড়ীর শিশু আলিফ মিয়া হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম (৩৯), সাইদ আনছার ও মহিউদ্দিন মিলন (৪৫)। পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত শিশু আলিফ খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য এই তিন আসামিকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন। সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন এই তিন আসামি মাদক ব্যবসায়ী। তাঁরা মাদক সেবনও করেন। আলিফের লাশ যে রিকশার গ্যারেজে পাওয়া যায়, সেখানে তাঁরা নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মাদকদ্রব্যের অর্থের জোগান বা অন্য কারও অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আলিফকে অপহরণ করে তাঁরা হত্যা করে থাকতে পারেন। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত এই তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৬ বছর বয়সী শিশু আলিফ ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে খেলার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বাসায় না ফেরায় আশপাশে খোঁজ করতে থাকে তার পরিবার। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে কাজলার নয়ানগর মিরাজ মিয়ার গ্যারেজে ইট দিয়ে বানানো পানির ট্যাংকে আলিফের লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় আলিফের দাদা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। আলিফের লাশের ময়নাতদন্ত করে চিকিৎসক বলেন, আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। আলিফের মাথার পেছনের অংশে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে আলিফের বাবা মুন্না মিয়া বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

এর আগে আলিফ হত্যা মামলায় খোকন ও খোকন হাওলাদার নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক শাহীনুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আলিফের বাবা মুন্না মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, দুই বছর পার হয়েছে। এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান তিনি।