রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

রোকেয়া হলের সামনে সংবাদকর্মীদের ভিড়। ছবি: আসিফ হাওলাদার
রোকেয়া হলের সামনে সংবাদকর্মীদের ভিড়। ছবি: আসিফ হাওলাদার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়াদের একজন রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী সায়েদা আফরিন প্রথম আলোকে জানান, ছাত্রলীগের ইন্ধনেই ওই মামলা করা হয়েছিল। তাঁরা রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করছেন। 

‘এক দাবি, পদত্যাগ’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাত ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী ও রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদাকে ফোন করা হলে তাঁরা ফোন ধরেননি।

গত সোমবার নির্বাচনের দিন দুপুরে রোকেয়া হলের একটি কক্ষে সিলগালা করা ব্যালট পেপার গোপনভাবে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এটি শোনার পর ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি(ভিপি) নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন সেখানে গিয়ে প্রাধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত ও হলে ভাঙচুর করেন—এমন অভিযোগ এনে পাঁচজনের বিরুদ্ধে হলের আবাসিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মারজুকা রায়না বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ওই মামলায় নুরুল হক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুতে বামজোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী, ডাকসুতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক(জিএস) প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজীর, ছাত্রদল থেকে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার ও রোকেয়া হল সংসদে স্বতন্ত্র প্যানেল রোকেয়া পরিষদের ভিপি প্রার্থী মৌসুমীকে আসামি করা হয়৷

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের দিন দুপুরে অভিযোগ ওঠে, রোকেয়া হল সংসদের কক্ষে সিলগালা করা ব্যালট পেপারের প্যাকেটসহ তিনটি ট্রাঙ্ক গোপনভাবে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুর ও পরিষদের কয়েকজন সদস্য হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদার কাছে যান। তাঁরা ওই কক্ষের ভেতরে কী আছে, তা দেখতে চান। সেখানে থাকা পরিষদ থেকে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে সাহিত্য সম্পাদক প্রার্থী আকরাম হুসাইন অভিযোগ করেন, হল প্রাধ্যক্ষ তাঁকে ওই কক্ষে যেতে বাধা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার না আসা পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়।

পরে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে ট্রাঙ্কগুলো বাইরে নিয়ে আসে। ট্রাঙ্কের ভেতরে থাকা সিলগালা করা ব্যালট পেপারের প্যাকেট থেকে ব্যালট পেপার বের করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়।